নিজস্ব প্রতিনিধি : ঘটনার একবছর অতিবাহিত হলেও বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে নারী নির্যাতনকারিদের গ্রেফতার করতে না পারাটা পুলিশের ব্যর্থতা
।
১৩ এপ্রিল বর্ষবরণে যৌন নিপীড়নের বর্ষপূর্তিতে প্রতিবাদী মানববন্ধনে একথা বলেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র ( বিএনএসকে )’র সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু।
গত বছর পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে নারীদের যৌন হয়রানির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার না হওয়ার প্রতিবাদে কালো পোশাক পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেছে বিএনএসকে।
নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, বর্ষবরণের অনুষ্ঠান এখন সাবর্জনীন উৎসব। কিন্তু মৌলবাদী গোষ্ঠি এই উৎসব রুখে দিতে চাইছে। এই উৎসব হবেই। আমরা সবাই মিলে বর্ষবরণের উৎসব করব।
তিনি বলেন, নারীর নিরাপত্তা আন্দোলন কেন করতে হচ্ছে? কারণ এদেশের পুলিশ ব্যর্থ। এ ঘটনায় পুলিশের নিন্দাই শুধু করবনা তারা ব্যর্থ এটি বলব। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটল সেখানকার প্রক্টর বললেন, কিছু ঘটেনি। কিন্তু তাকে অপসারণ আজ পর্যন্ত করা হলোনা। এটা চরম লজ্জার। তিনি প্রশ্ন রাখেন যদি গতবছর কোন কিছু নাই ঘটল তাহলে এবছর এত নিরাপত্তা নেয়া হচ্ছে কেন?
তিনি বলেন, আমি নারীদের অনুরোধ করব কারো দিকে তাকিয়ে থাকা নয় নিজেরা নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিন। নিজের নিরাপত্তার জন্য কারাতে শিখুন।
বিএনএসকের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা বলেন, বিকেল পাঁচটার পর অনুষ্ঠান করা যাবেনা। এমন কথা কেন আমাদের শুনতে হচ্ছে। আমরা বিকেল পাঁচটার পর অনুষ্ঠান করব। যারা এতে বাধা দেয় তাদের গ্রেফতার করুন। অন্যায়কারীকে না ধরে নারীদের ঘরে বন্দি করে রাখার এই পাঁয়তারা বন্ধ করুন।
বিএনএসকের কোষাধ্যক্ষ আকতার জাহান মালিক বলেন, গত বছর বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে যারা যৌন হয়রানি করেছে তাদের বিচার হলে এদেশের যৌন হয়রানি কমবে। আমি তাদের বিচার হোক তা দেখতে চাই।
বিএনএসকের সদস্য শান্তা মারিয়া বলেন, নির্বিঘ্নে যে দেশে নারীরা পথ চলতে কেন্দ্রের সদস্য পারে সেই দেশকে সভ্যদেশ বলা হয়। আমাদের দেশও সভ্য হবে এটা চাই। সমস্ত ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণী-পেশার সকলের মর্যাদা এখানে রক্ষিত হবে। এদেশে হুট করে পাঁচটার পর বর্ষবরণের অনুষ্ঠান করতে না দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয় কিন্তু অপরাধীদের ধরা হয়। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।
মানবকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার তাসকিনা ইয়াসমিন বলেন, আমরা প্রত্যেকেই এই বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমিকা রাখি। আমাদের ট্যাক্সের টাকায় রাষ্ট্র চলে। তাই আমাদের প্রত্যেককে নিরাপত্তা দেয়া রাষ্ট্রের পুলিশের দায়িত্ব। পুলিশ মাদকব্যবসায়ী গ্রেফতার করতে পারবে আর নারী নির্যাতনকারীকে গ্রেফতার করতে পারবেনা পুলিশের এই মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, গতবছর পুলিশ এটা অস্বীকার করেছিল। মাত্র দুদিন আগে পুলিশের কর্মকর্তা এই ঘটনা স্বীকার করে দু:খ প্রকাশ করেছেন। এবার দু:খকে শক্তি করে সেই অপরাধীদের গ্রেফতার করে দেখান।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের জনকল্যাণ সম্পাদক উম্মুল ওয়ারা সুইটি, সংবাদের স্টাফ রিপোর্টার সেবিকা দেবনাথ, সাব এডিটর নিগার সুলতানা রুনি ও সাব এডিটর নাসরিন শওকত,
ভোরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার শরীফা বুলবুল, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক নাসরিন সুলতানা, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম এর শান্তা মারিয়া, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সৈয়দা অনন্যা রহমান,
ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার ইয়াসমিন পিউ ও স্টাফ রিপোর্টার রাবেয়া বেবি, সমকালের ফিচার রাইটার মেহেরুন নেসা রুমা, দৈনিক ডেসটিনির নারী পাতার সম্পাদক দিলরুবা খান,
আইসিডিডিআরবির জেন্ডার স্পেশালিস্ট ফারজানা শাহনাজ মজিদ, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক আয়শা খানম, বেগম এর স্টাফ রিপোর্টার শাহনাজ খান, বাংলামেইল টুয়েন্টিফোর ডটকম এর সাব এডিটর মাহমুদা আকতার, সমাজকর্মী রাখি দেবনাথ প্রমুখ।
।
১৩ এপ্রিল বর্ষবরণে যৌন নিপীড়নের বর্ষপূর্তিতে প্রতিবাদী মানববন্ধনে একথা বলেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র ( বিএনএসকে )’র সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু।
গত বছর পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে নারীদের যৌন হয়রানির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার না হওয়ার প্রতিবাদে কালো পোশাক পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেছে বিএনএসকে।
নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, বর্ষবরণের অনুষ্ঠান এখন সাবর্জনীন উৎসব। কিন্তু মৌলবাদী গোষ্ঠি এই উৎসব রুখে দিতে চাইছে। এই উৎসব হবেই। আমরা সবাই মিলে বর্ষবরণের উৎসব করব।
তিনি বলেন, নারীর নিরাপত্তা আন্দোলন কেন করতে হচ্ছে? কারণ এদেশের পুলিশ ব্যর্থ। এ ঘটনায় পুলিশের নিন্দাই শুধু করবনা তারা ব্যর্থ এটি বলব। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটল সেখানকার প্রক্টর বললেন, কিছু ঘটেনি। কিন্তু তাকে অপসারণ আজ পর্যন্ত করা হলোনা। এটা চরম লজ্জার। তিনি প্রশ্ন রাখেন যদি গতবছর কোন কিছু নাই ঘটল তাহলে এবছর এত নিরাপত্তা নেয়া হচ্ছে কেন?
তিনি বলেন, আমি নারীদের অনুরোধ করব কারো দিকে তাকিয়ে থাকা নয় নিজেরা নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিন। নিজের নিরাপত্তার জন্য কারাতে শিখুন।
বিএনএসকের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা বলেন, বিকেল পাঁচটার পর অনুষ্ঠান করা যাবেনা। এমন কথা কেন আমাদের শুনতে হচ্ছে। আমরা বিকেল পাঁচটার পর অনুষ্ঠান করব। যারা এতে বাধা দেয় তাদের গ্রেফতার করুন। অন্যায়কারীকে না ধরে নারীদের ঘরে বন্দি করে রাখার এই পাঁয়তারা বন্ধ করুন।
বিএনএসকের কোষাধ্যক্ষ আকতার জাহান মালিক বলেন, গত বছর বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে যারা যৌন হয়রানি করেছে তাদের বিচার হলে এদেশের যৌন হয়রানি কমবে। আমি তাদের বিচার হোক তা দেখতে চাই।
বিএনএসকের সদস্য শান্তা মারিয়া বলেন, নির্বিঘ্নে যে দেশে নারীরা পথ চলতে কেন্দ্রের সদস্য পারে সেই দেশকে সভ্যদেশ বলা হয়। আমাদের দেশও সভ্য হবে এটা চাই। সমস্ত ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণী-পেশার সকলের মর্যাদা এখানে রক্ষিত হবে। এদেশে হুট করে পাঁচটার পর বর্ষবরণের অনুষ্ঠান করতে না দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয় কিন্তু অপরাধীদের ধরা হয়। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।
মানবকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার তাসকিনা ইয়াসমিন বলেন, আমরা প্রত্যেকেই এই বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমিকা রাখি। আমাদের ট্যাক্সের টাকায় রাষ্ট্র চলে। তাই আমাদের প্রত্যেককে নিরাপত্তা দেয়া রাষ্ট্রের পুলিশের দায়িত্ব। পুলিশ মাদকব্যবসায়ী গ্রেফতার করতে পারবে আর নারী নির্যাতনকারীকে গ্রেফতার করতে পারবেনা পুলিশের এই মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, গতবছর পুলিশ এটা অস্বীকার করেছিল। মাত্র দুদিন আগে পুলিশের কর্মকর্তা এই ঘটনা স্বীকার করে দু:খ প্রকাশ করেছেন। এবার দু:খকে শক্তি করে সেই অপরাধীদের গ্রেফতার করে দেখান।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের জনকল্যাণ সম্পাদক উম্মুল ওয়ারা সুইটি, সংবাদের স্টাফ রিপোর্টার সেবিকা দেবনাথ, সাব এডিটর নিগার সুলতানা রুনি ও সাব এডিটর নাসরিন শওকত,
ভোরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার শরীফা বুলবুল, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক নাসরিন সুলতানা, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম এর শান্তা মারিয়া, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সৈয়দা অনন্যা রহমান,
ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার ইয়াসমিন পিউ ও স্টাফ রিপোর্টার রাবেয়া বেবি, সমকালের ফিচার রাইটার মেহেরুন নেসা রুমা, দৈনিক ডেসটিনির নারী পাতার সম্পাদক দিলরুবা খান,
আইসিডিডিআরবির জেন্ডার স্পেশালিস্ট ফারজানা শাহনাজ মজিদ, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক আয়শা খানম, বেগম এর স্টাফ রিপোর্টার শাহনাজ খান, বাংলামেইল টুয়েন্টিফোর ডটকম এর সাব এডিটর মাহমুদা আকতার, সমাজকর্মী রাখি দেবনাথ প্রমুখ।