জসিম উদ্দিন রাজা : বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট সাংবাদিক মো. শাহ আলমগীরের জন্মদিন ২২
ফেব্রুয়ারি। শুভ জন্মদিন শাহ আলমগীর। ১৯৫৭ সালের এই দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
ছাত্রজীবন থেকেমো. শাহ আলমগীরের সাংবাদিকতা শুরু। ৩৫ বছরের দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে তিনি একাধিক ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। পিআইবিতে যোগদানের পূর্বে তিনি সর্বশেষ এশিয়ান টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকায় যোগদানের মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। এখানে তিনি সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত। এরপর তিনি কাজ করেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদ-এ। প্রথম আলো প্রকাশের সময় থেকেই তিনি পত্রিকাটির সাথে জড়িত ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত যুগ্ম বার্তা-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি টেলিভিশন মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন। চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মো. শাহ আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি শিশু কল্যাণ পরিষদ এবং শিশু ও কিশোরদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান ‘চাঁদের হাট’-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য। বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর পরিচালনা বোর্ডেরও সদস্য তিনি।
সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার ২০০৬, ‘চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক ২০০৫’, ‘রোটারি ঢাকা সাউথ ভোকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ এবং ‘কুমিল্লা যুব সমিতি অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ পেয়েছেন।
পেশা ও ব্যক্তিগত কাজে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে-রাশিয়া, আজারবাইজান, লাটভিয়া, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, জাপান, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, কেনিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা, সুইজারল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ফ্রান্স ও জার্মানি।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলা সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করেন। এর বাইরে মস্কো ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম থেকে সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা ও থমসন ফাউন্ডেশন পরিচালিত সাংবাদিকতায় উচ্চতর কোর্স সম্পন্ন করেছেন। তা ছাড়া বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সেও অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— করাচিতে সাউথ এশিয়ান ফ্রি মিডিয়া আয়োজিত ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বিষয়ক কর্মশালা, ফিল্ম আর্কাইভস আয়োজিত ফিল্ম এপ্রিসিয়েশন কোর্স ও ভারতের গোয়ায় UNDP আয়োজিত “South Asian media and its role in attaining the Millennium Development Goal” শীর্ষক সম্পাদকদের কর্মশালা।
পারিবারিক জীবনে তিনি এক পুত্র ও কন্যা সন্তানের জনক। তার স্ত্রী ফৌজিয়া বেগম কাজ করেন একটি ওষুধ কোম্পানিতে। ছেলে আশিকুল আলম দীপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে বিবিএ পাস করে কাজ করছেন এইচএসবিসি ব্যাংকে। মেয়ে অর্চি অনন্যা আইইউবিতে পড়ছেন সাংবাদিকতা বিভাগে। মো. শাহ আলমগীরের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে হলেও বাবার চাকরির সুবাদে তার জীবনের একটি বড় অংশ কেটেছে বৃহত্তর ময়মনসিংহে।