জসিম উদ্দিন রাজা : যতো দিন যাচ্ছে, মানুষের জীবনে ততই যেন বাড়ছে রোগের প্রকোপ। দেশে ভালো মানের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু
তার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়। বড় কোনো রোগ হলে অনেকদিন থাকতে হয় হাসপাতালে। জেনে নিন এসব খরচ কমানোর কিছু কৌশল।
১) টেস্ট করার কারণ জেনে নিন
অনেক সময়েই দেখা যায় ডাক্তার অনেকগুলো টেস্ট দিয়েছেন। এসব টেস্টের পেছনে চলে যায় বড় অংকের টাকা। এসব টেস্টের সবই কি জরুরী? অনেক সময়ে রোগীর চাপে পড়েই ডাক্তাররা অতিরিক্ত টেস্ট দেন, কেউ কেউ আবার চিকিৎসা শুরুর আগে একেবারেই নিশ্চিত হয়ে নিতে চান। আপনি যদি টেস্টের পেছনে খরচ কমাতে চান তবে ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে নিন এসব টেস্ট তিনি কেন করাতে দিচ্ছেন এবং আপনার ট্রিটমেন্টে এদের কী প্রভাব পড়তে পারে।
২) নিজেই কিনে নিন ওষুধ
হাসপাতালের ফার্মাসি থেকে ওষুধ সরবরাহ করা হলে তার দাম বেশি রাখা হতে পারে। যদি সেই হাসপাতালের কোনো আপত্তি না থাকে, তাহলে আপনি বাইরে থেকে কম দামেই নিজের ওষুধ কিনে নিতে পারেন। এগুলোর খরচ যেন আবার হাসপাতালের বিলে না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
৩) খরচের ব্যাপারে জেনে রাখুন
সব হাসপাতালের খরচ একরকম নয়, সেবাও এক রকম নয়। খুব দামী একটি হাসপাতালের সেবাও খারাপ হতে পারে, আবার মাঝারি খরচের হাসপাতালে বেশ ভালো সেবা পাওয়া যেতে পারে। নিজের পরিচিত মানুষদের সাথে কথা বলুন এবং জেনে রাখুন আপনার অসুস্থতার জন্য কোন হাসপাতালটি ভালো হবে।
৪) স্পেশালিস্টের ভিজিট
সাধারণত হাসপাতালে স্পেশালিস্ট ডাক্তারেরা বেশ ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু কোনো স্পেশালিস্ট ডাক্তার যদি দৃশ্যত কোনও কারণ ছাড়াই আপনাকে ভিজিট করেন ঘন ঘন তবে চিন্তার ব্যাপার, কারণ প্রতি ভিজিটের জন্যই হয়তো মোটা অংকের টাকা গুনতে হবে আপনাকে। ডাক্তারের সাথে কথা বলে জেনে নিন এত ঘন ঘন ভিজিটের প্রয়োজন আছে কী না।
৫) খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে নিন বিল
হাসপাতাল থেকে আপনাকে যে বিল দেওয়া হবে তা ভালো করে দেখে নিন। ভুল থাকতেই পারে। হয়তো এমন কোনো ওষুধের কথা লেখা আছে যা আপনি ব্যবহার করেননি। অথবা দুই দিনের ট্রিটমেন্টের জন্য তিন দিনের খরচ রাখা হচ্ছে। এ কারণে চেক করে নেওয়াটাই ভালো। একাধিক বিল থাকলে সেগুলো গুছিয়ে রাখুন এবং কোথায় কী খরচ হচ্ছে খেয়াল রাখুন।
৬) বিস্তারিত বিল দাবি করুন
আপনি হাসপাতালে থাকা অবস্থায় কী কী দ্রব্যের জন্য খরচ ধরা হচ্ছে- সবকিছুর বিস্তারিত বিবরণ আছে এমন বিল চেয়ে নিন। এতে আপনি বুঝতে পারবেন কোথায় কী খরচ হয়েছে।
৭) সুস্থ হয়ে গেলে যতো দ্রুত সম্ভব বাড়ি চলে যান
প্রতিটি দিনের জন্য গুচ্ছের টাক আখরচ হয়ে যাবে আপনার। এ কারণে ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে নিন কী দেখে বোঝা যাবে আপনার শরীর বাসায় যাবার উপযুক্ত হয়েছে। যদি ইতোমধ্যেই আপনি বাসায় যাবার মতো সুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে আর হাসপাতালে কালবিলম্ব না করে ডিসচার্জ নিয়ে নিন।
৮) রেফারেন্স নাম্বার
আপনার যদি ইনস্যুরেন্স থেকে থাকে তাহলে হাসপাতালের বিল নিয়ে কথা বলার সময়ে কার সাথে কথা বলছেন তার নাম, নাম্বার, পদ এসব জেনে রাখা ভালো। এতে বিল নিয়ে কোনো জটিলতা হলেও আপনি জানবেন কার সাথে কথা বলতে হবে।
৯) ডিসকাউন্টের সুযোগ নিন
অনেক সময়ে আপনার বিশেষ কোনও ইনস্যুরেন্স থাকলে অথবা ক্রেডিট কার্ড থাকলে তার জন্য কোনও কোনও হাসপাতালে বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডিসকাউন্ট দেওয়া হতে পারে। এগুলোর ব্যাপারে আপনার জেনে রাখাটা ভালো। অনেক ক্ষেত্রেই বেশ কিছু টাকা বেঁচে যেতে পারে।
তার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়। বড় কোনো রোগ হলে অনেকদিন থাকতে হয় হাসপাতালে। জেনে নিন এসব খরচ কমানোর কিছু কৌশল।
১) টেস্ট করার কারণ জেনে নিন
অনেক সময়েই দেখা যায় ডাক্তার অনেকগুলো টেস্ট দিয়েছেন। এসব টেস্টের পেছনে চলে যায় বড় অংকের টাকা। এসব টেস্টের সবই কি জরুরী? অনেক সময়ে রোগীর চাপে পড়েই ডাক্তাররা অতিরিক্ত টেস্ট দেন, কেউ কেউ আবার চিকিৎসা শুরুর আগে একেবারেই নিশ্চিত হয়ে নিতে চান। আপনি যদি টেস্টের পেছনে খরচ কমাতে চান তবে ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে নিন এসব টেস্ট তিনি কেন করাতে দিচ্ছেন এবং আপনার ট্রিটমেন্টে এদের কী প্রভাব পড়তে পারে।
২) নিজেই কিনে নিন ওষুধ
হাসপাতালের ফার্মাসি থেকে ওষুধ সরবরাহ করা হলে তার দাম বেশি রাখা হতে পারে। যদি সেই হাসপাতালের কোনো আপত্তি না থাকে, তাহলে আপনি বাইরে থেকে কম দামেই নিজের ওষুধ কিনে নিতে পারেন। এগুলোর খরচ যেন আবার হাসপাতালের বিলে না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
৩) খরচের ব্যাপারে জেনে রাখুন
সব হাসপাতালের খরচ একরকম নয়, সেবাও এক রকম নয়। খুব দামী একটি হাসপাতালের সেবাও খারাপ হতে পারে, আবার মাঝারি খরচের হাসপাতালে বেশ ভালো সেবা পাওয়া যেতে পারে। নিজের পরিচিত মানুষদের সাথে কথা বলুন এবং জেনে রাখুন আপনার অসুস্থতার জন্য কোন হাসপাতালটি ভালো হবে।
৪) স্পেশালিস্টের ভিজিট
সাধারণত হাসপাতালে স্পেশালিস্ট ডাক্তারেরা বেশ ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু কোনো স্পেশালিস্ট ডাক্তার যদি দৃশ্যত কোনও কারণ ছাড়াই আপনাকে ভিজিট করেন ঘন ঘন তবে চিন্তার ব্যাপার, কারণ প্রতি ভিজিটের জন্যই হয়তো মোটা অংকের টাকা গুনতে হবে আপনাকে। ডাক্তারের সাথে কথা বলে জেনে নিন এত ঘন ঘন ভিজিটের প্রয়োজন আছে কী না।
৫) খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে নিন বিল
হাসপাতাল থেকে আপনাকে যে বিল দেওয়া হবে তা ভালো করে দেখে নিন। ভুল থাকতেই পারে। হয়তো এমন কোনো ওষুধের কথা লেখা আছে যা আপনি ব্যবহার করেননি। অথবা দুই দিনের ট্রিটমেন্টের জন্য তিন দিনের খরচ রাখা হচ্ছে। এ কারণে চেক করে নেওয়াটাই ভালো। একাধিক বিল থাকলে সেগুলো গুছিয়ে রাখুন এবং কোথায় কী খরচ হচ্ছে খেয়াল রাখুন।
৬) বিস্তারিত বিল দাবি করুন
আপনি হাসপাতালে থাকা অবস্থায় কী কী দ্রব্যের জন্য খরচ ধরা হচ্ছে- সবকিছুর বিস্তারিত বিবরণ আছে এমন বিল চেয়ে নিন। এতে আপনি বুঝতে পারবেন কোথায় কী খরচ হয়েছে।
৭) সুস্থ হয়ে গেলে যতো দ্রুত সম্ভব বাড়ি চলে যান
প্রতিটি দিনের জন্য গুচ্ছের টাক আখরচ হয়ে যাবে আপনার। এ কারণে ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে নিন কী দেখে বোঝা যাবে আপনার শরীর বাসায় যাবার উপযুক্ত হয়েছে। যদি ইতোমধ্যেই আপনি বাসায় যাবার মতো সুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে আর হাসপাতালে কালবিলম্ব না করে ডিসচার্জ নিয়ে নিন।
৮) রেফারেন্স নাম্বার
আপনার যদি ইনস্যুরেন্স থেকে থাকে তাহলে হাসপাতালের বিল নিয়ে কথা বলার সময়ে কার সাথে কথা বলছেন তার নাম, নাম্বার, পদ এসব জেনে রাখা ভালো। এতে বিল নিয়ে কোনো জটিলতা হলেও আপনি জানবেন কার সাথে কথা বলতে হবে।
৯) ডিসকাউন্টের সুযোগ নিন
অনেক সময়ে আপনার বিশেষ কোনও ইনস্যুরেন্স থাকলে অথবা ক্রেডিট কার্ড থাকলে তার জন্য কোনও কোনও হাসপাতালে বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডিসকাউন্ট দেওয়া হতে পারে। এগুলোর ব্যাপারে আপনার জেনে রাখাটা ভালো। অনেক ক্ষেত্রেই বেশ কিছু টাকা বেঁচে যেতে পারে।